অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য গাদি আইসেনকোট স্বীকার করেছেন যে ইহুদিবাদী ইসরাইল এখন পশ্চাদপসরণে রয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সংসদ নেসেটের সদস্য এবং অবৈধ সরকারের সাবেক সেনা প্রধান গাদি আইসেনকোট এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন, ইসরাইল গাজায় ঘোষিত যুদ্ধের কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারে নি। পার্সটুডে অনুসারে আইসেনকোট এই সংবাদ সম্মেলনে ইহুদিবাদী শাসনের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কর্মক্ষমতার কঠোর সমালোচনা করেছেন।
গ্যান্টজ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, নেতানিয়াহু তার নিজস্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যস্ত এবং দক্ষিণ ইসরাইলের অধিবাসীদেরকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি চিন্তা করেন না। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রথম চুক্তিসহ বন্দি বিনিময় চুক্তিগুলোকে জিম্মি করেছিলেন। নেতানিয়াহু কখনই জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনার বিষয়ে চিন্তিত নন এবং বরং তিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার টিকে থাকার বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
নেতানিয়াহুর বিরোধীদের মতে গাজা যুদ্ধ বন্ধ এবং ইহুদিবাদী বন্দীদের বিনিময়ের লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে তিনি এখনও প্রধান বাধা। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দখলকৃত অঞ্চলের বিভিন্ন শহরে নেতানিয়াহুর নীতির প্রতিবাদে ইহুদিবাদীরা বিক্ষোভ করছে।
পশ্চিমা দেশগুলির পূর্ণ সমর্থন নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা এবং জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে অরক্ষিত এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে একটি নতুন গণহত্যা শুরু করেছে। হামলার আগে ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেছিলে গত ১১ মাসের যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত তা অর্জন করতে পারেনি।
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী গাজায় ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর হামলায় ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯৪ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে।
১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার নীল নকশায় তৈরি হয় ইসরাইল এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে এই অবৈধ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৪৮ সালে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালিয়ে এবং তাদের ভূমি জবর দখলের জন্য বিভিন্ন গণহত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
Leave a Reply